Published Date: Jun 17, 2020

একশনএইড বাংলাদেশ সাংবাদিক মিডিয়া ফেলোশিপ ২০২০

গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ

প্রস্তাবনা আহ্বান


গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও উন্নয়ন সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে সাংবাদিকদের কাছ থেকে ফেলোশিপের জন্য প্রস্তাবনা আহ্বান করছে একশনএইড বাংলাদেশ। প্রোমোটিং অপারচুনিটিজ ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এন্ড রাইট্স, সংক্ষেপে ‘পাওয়ার’ প্রকল্প গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ কে শ্রম হিসেবে গণ্য করার জন্য ধারাবাহিক প্রচারনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই ফেলোশিপ প্রস্তাবনা আহবান করা হচ্ছে। প্রস্তাবনাসমূহ বিবেচনা করে ০৫জন সাংবাদিককে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে।


পটভূমি:

গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ ঐতিহ্যগতভাবে একটি জেন্ডার বিষয়। সেবামূলক ও জীবনধারণের জন্য আবশ্যক যে কাজগুলো নারীরা নিয়মিত ঘরে করেন, তাই গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে নারীর উপর গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের অসম চাপ। এতে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। যার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ দেখা যায় নারীদের আয় ও অন্যান্য সম্পদে প্রবেশাধিকার ও নিয়ন্ত্রণের সুযোগ হচ্ছে না অথবা সীমিত হয়ে পড়ছে। নারীরা একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মাঝে আবদ্ধ হয়ে থাকছে। তারা সমাজে নেতৃত্ব দেয়া ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছেন না। আর এই সকল কারণে নারীরা দারিদ্র্য, সহিংসতা, অপুষ্টি, স্বাস্থ্যহীনতাসহ আরো নানান ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অথচ আজ অবধি বাংলাদেশের কোন আইন বা নীতিতে গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ কে শ্রম হিসেবে গণ্য করা হয়নি। তাই নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য গৃহিত যে কোন নীতিমালা, কর্মসূচী ইত্যাদিতে অবশ্যই গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ ও নারীদের উপর এর প্রভাব বিবেচনা করা জরুরী।

‘পাওয়ার’ প্রকল্প নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১৬ থেকে গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি, হ্রাস ও পুনর্বণ্টন-এই তিন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে এবং নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

  • স্বীকৃতি: এই স্বীকৃতি প্রদানের অর্থ হলো এই কাজকে শ্রম হিসেবে মূল্যায়ন এবং এর আর্থিক মূল্যায়ন। এই মূল্যায়ন বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে, যেমন এই শ্রমের জন্য আর্থিক মূল্য নির্ধারন, জাতীয় জরিপ এবং শ্রমশক্তির জরিপে নারীদের এই শ্রমকে অন্তর্ভূক্ত করা, বাজেটে নারীর গৃহস্থালির শ্রমের মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো। জিডিপিতে নারীর এই শ্রমকে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে দেশের প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়ে যাবে।    
  • পুনর্বণ্টন: গৃহস্থালির সেবামূলক কাজগুলো এমন যে এগুলো কমানোর কোন উপায় নেই। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের মধ্যে কাজগুলো বণ্টন হতে পারে। সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও সেবা যেমন, শিশু দিবা যতœ কেন্দ্র পুনর্বণ্টনে ভূমিকা রাখতে পারে।  
  • হ্রাস: বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচির মাধ্যমে যখন গৃহস্থালির সেবামূলক কাজসমূহ পুনর্বন্টিত হবে তখন নারীর উপর এ কাজের চাপ কমবে। এবং এ কাজে নারীর ব্যয়িত সময় কমে আসবে। তাহলে বেশকিছু সময় বাঁচবে, যা নারী আয়মূলক ও অন্যান্য কাজে ব্যয় করতে পারে। 


ফেলোশিপের লক্ষ্য: 

  • এই ফেলোশিপের লক্ষ্য জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য অনুসন্ধান ও তথ্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ এবং সম্প্রচার (জাতীয় গণমাধ্যমে) করা।
  • প্রত্যাশিত হস্তক্ষেপ এবং পরিবর্তন আনার জন্য নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা
  • গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি, হ্রাস ও পুনর্বণ্টন-এই তিন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ এবং সংবেদনশীলতা প্রকাশ করে।


প্রতিটি ফেলোশিপের পুরস্কার: ৬৫,০০০ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ যা উৎসমূলে কর্তন করা হবে) ও সার্টিফিকেট 

ফেলোশিপের সময়: জুলাই-আগস্ট ২০২০

ফেলোশিপ ক্যাটাগরি: জাতীয় পর্যায়ের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া (বাংলা ও ইংরেজী)


নির্বাচিত বিষয়: 

১.    গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ: বাস্তবতা, কার্যকারণ ও প্রভাব

২.    গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ: প্রেক্ষিত আইন ও নীতিমালা

৩.    নারীর ক্ষমতায়ন: প্রেক্ষিত গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ

৪.    কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ও শহুরে জীবনে গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ

**(পরবর্তীতে আলোচ্য বিষয়গুলো ফেলো ও বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে আরো সুনির্ধারিত করা হবে।)


প্রস্তাবনা পাঠাতে যা যা লাগবে:

  • কভার লেটার (সর্বোচ্চ ১ পেইজ)
  • সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের মধ্যে প্রতিবেদনের বিষয় সম্পর্কে লেখা (বাংলা/ইংরেজী) 
  • আবেদনকারীর কর্মপ্রতিষ্ঠানের সম্পাদক/প্রধান প্রতিবেদক/এসাইনমেন্ট এডিটর স্বাক্ষরিত অভিজ্ঞতা সনদ এবং অংশগ্রহণের জন্য সম্মতিপত্র
  • আবেদনকারীর ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত
  • ই-টিন সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক বৃত্তান্ত
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি


বিশেষ শর্তাবলী: 

  • জাতীয় পর্যায়ের সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক/রিপোর্টার আবেদন করতে পারবেন। 
  • আবেদনকারীর বাংলা ও/অথবা ইংরেজী সংবাদমাধ্যমে ন্যূনতম ০২ বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • প্রতিবেদনসমূহ আবেদনকারীর কর্মপ্রতিষ্ঠানে প্রচার করার সম্মতি থাকতে হবে।
  • ফেলোশিপের সময়কালে ন্যূনতম দুটি প্রতিবেদন তৈরী করতে হবে।


প্রস্তাবনাপত্রে যা যা অবশ্যই বিবেচিত হবে (সীমাবদ্ধ নয়): 

  • উল্লেখিত বিষয়সমূহের মধ্যে ন্যুনতম দুটো বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির পরিকল্পনা
  • সাক্ষাৎকার গ্রহণ পরিকল্পনা
  • গবেষনালবদ্ধ তথ্য প্রদান পরিকল্পনা


প্রস্তাবনা জমা দেয়ার শেষ তারিখ:

৩০ জুন ২০২০   


জমা দেয়ার ঠিকানা: 

নূরে জান্নাত প্রমা

প্রোগ্রাম অফিসার, রিপোর্টিং এন্ড ডকুমেন্টেশন

‘পাওয়ার’ প্রকল্প, একশনএইড বাংলাদেশ

বাড়ী- এসই (সি) ৫/বি, রোড ১৩৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২


ই-মেইল: noore.proma@actionaid.org 

অনুলিপি: israt.biju@actionaid.org; ananya.sanyal@actionaid.org